আমার জীবনে এতো সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কখনো দেখিনি। নেই কোনো প্রশিক্ষণ তারপরও এতো সুন্দর করে দায়িত্ব পালন করছে ছাত্ররা। কোনো ভোগান্তি পেতে হচ্ছে না।
এমন কথা শুনালেন সিএনজির যাত্রী সফুরা বেগম। ট্রাফিক-পুলিশ থানা-পুলিশ এবং দলীয় পাতি নেতাকে চাঁদা দিলেও গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হতো। এমন কথা বললেন এক গাড়িচালক। চট্টগ্রাম নগরজুড়ে শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন।
আমার রাস্তা আমাকে বুঝিয়ে দেন। রাস্তার ওপর পার্কিং থাকা গাড়ি নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে একদল শিক্ষার্থী হাতে মাইক নিয়ে বলতে দেখা গেছে। উপস্থিত সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলসহ যাদের গাড়ি রাস্তার ওপর ছিল সকলে নিজ দায়িত্বে গাড়ি সরিয়ে ফেলেন।
যারা এই বেতনবিহীন দায়িত্ব পালন করছেন তারা সকলে বিশ বছরের কম বা একটু বেশি। দেখা যায় তাদের কারও হাতে ঝাড়ু, কারও হাতে পলিথিনের ব্যাগ। সড়কের ময়লা-আবর্জনা ঝাড়ু দিয়ে সাফ করছেন তারা।
গত মঙ্গলবার নগরের সেই দখল বেদখল খ্যাত নিউমার্কেট মোড় ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। নিউমার্কেট মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা রয়েছে। কোতোয়ালি, আমতল, স্টেশন রোড, সদরঘাটমুখী সড়ক থেকে গাড়ি এসে মোড়ে মিলিত হচ্ছে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
সেখানে সড়কের চর্তুপাশে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থা রক্ষার চেষ্টা করছেন। চকবাজার এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় সালমান, ফার্সি, আবিদ, অলিদ, রিফাত ও রাফিসহ আরও অনেকে। তারা বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা শিক্ষার্থীরা কাজ করছি। আমাদের একটি দল যায়া আরেকটি দল আসে। পর্যায়ক্রমে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি।
টিএইচ